পৃথিবী নামক গ্রহের প্রত্যেক প্রাণীই জন্ম-মৃত্যুর অধীন। সমস্ত প্রাণীর মধ্যে মানুষকেই আল্লাহপাক করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠ। মানুষকেই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত স্রষ্টার অনুশাসনাধীন থাকতে হয়। নিজেকে জানা, স্রষ্টাকে জানা, সর্বোপরি জীবন ও জগতকে জানার জন্য প্রত্যেকটি মানুষের শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য। শিক্ষা মানুষের শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও পারিপার্শ্বিক সমন্বয় সাধন করে থাকে।
মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শেখে। এ শিক্ষা কখনো আত্ম উপলব্ধিজাত, কখনো পর্যবেক্ষণগত অভিজ্ঞতা, কখনোবা প্রাতিষ্ঠানিক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় মূলত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রদান করার রীতি প্রচলিত। ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ এ প্রচলিত রীতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে থাকে।
এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীকে যথাযথভাবে বিকশিত করে তোলাই এ কলেজের লক্ষ্য। জাতীয় আদর্শ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিভিত্তিক ব্যক্তিক অন্তর্নিহিত শক্তি, প্রতিভা ও বুদ্ধির বিকাশ সাধন এবং নৈতিক গুণাবলিসম্পন্ন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একমাত্র উদ্দেশ্য।
ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও সুনাগরিক সর্বোপরি জীবন সংগ্রামের যোগ্য মানুষ এবং সুখী ও সমৃদ্ধশালী উন্নতমনা সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলায় অঙ্গিকারাবদ্ধ।
এ লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কলেজটি। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কলেজটি শিক্ষা প্রদান ও ফলাফলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত ঐঝঈ পরীক্ষার ফলাফলে এ কলেজ ঢাকা বোর্ডের সেরা ১০টি কলেজের মধ্যে চতুর্থ স্থান লাভ করে। এ ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন ঘটিয়ে ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৯ সালের ঐঝঈ পরীক্ষাতেও ঢাকা বোর্ডের সেরা ১০টি কলেজের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান, ২০১০ সালে ঢাকা বোর্ডে টপ টুয়েন্টিতে ত্রয়োদশ স্থান, ২০১১ সালে দ্বাদশ, ২০১২ সালে নবম, ২০১৩ সালে একাদশ এবং ২০১৪ সালে চতুর্থ স্থান অধিকার করার অনন্য গৌরব অর্জন করে। এরপরে শিক্ষাবোর্ড মেধা তালিকা প্রণয়ন করেনি।
সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও মননশীল শিক্ষাব্যবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা কলেজে অবস্থানকালে পাঠ্যক্রমিক ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ক্লাসে দুর্বল (বোধগম্যতার দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়া) শিক্ষার্থীদের মেধার মানোন্নয়ন ও পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত ঊীঃৎধ ঈধৎব ও ঊীঃৎধ ঈষধংং এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন কার্যক্রমে কোথাও কোন অসামঞ্জস্য বা ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে বিভিন্ন মাধ্যমে (ডায়েরিতে মন্তব্য প্রদান, চিঠি ও টেলিফোন) সম্মানিত অভিভাবককে অবহিত করে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠান সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
অতএব, সু-শিক্ষিত জাতিগঠন এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর আত্মোন্নতি ও আত্মপ্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ এগিয়ে চলেছে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সর্বস্তরের সচেতন জনগোষ্ঠীর নিকট আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। পরম করুণাময় আল্লাহতা’আলা আমাদের সহায় হউন।


মো: মাকছুদ উদ্দিন
অধ্যক্ষ ও সদস্যসচিব
ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ